ছবি: আগামী নিউজ
বগুড়া: জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় জমে উঠেছে আলুর হাট। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে বাম্পার ফলনের কারণে শুরু থেকেই হাটে প্রচুর আলুর আমদানি হচ্ছে। দুপচাঁচিয়ার বিভিন্ন হাটে একটু পর পর স্তূপ করে রাখা আলুর সমাহার যেন একেকটি পাহাড়।
চলতি সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন হাটে আলুর প্রচুর আমদানি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ধাপসুলতানগঞ্জ হাট, সাহারপুকুর হাট, চৌমুহনী হাট ও জিয়ানগর হাটে সকাল থেকে ক্রেতা বিক্রেতার ভিড় জমছে। সাইকেল, ভ্যান ও ট্রাকযোগে দিনব্যাপী বিক্রেতারা হাটে আলু নিয়ে আসছেন আর ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা আলু কিনে মাটিতে স্তূপ করে রাখছেন। দিন শেষে আলুর পাহাড়গুলো ভেঙে বস্তায় ভরে ট্রাকে লোড করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন দলে বিভক্ত শ্রমিকরা। বস্তা ভর্তি আলু ট্রাকে লোড করার পর তা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটে আলু বিক্রি করতে আসা কৃষক হোসেন আলি বলেন, এই মুহূর্তে আলুর যে দাম পাওয়া যাচ্ছে তা সন্তোষজনক। তবে আলুর দাম আর কিছুটা বাড়লে কৃষক আলু চাষের জন্য পূর্ণ তৃপ্তি লাভ করবে।
বিক্রেতা হাবিব জানায়, সে দেশী পাকড়ি জাতের ৬ মণ আলু বাজারে এনে তা প্রতিমণ ৫৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছে। আলুর দাম মোটামুটি লাভজনক থাকায় সে খুশি বলেও জানায়।
পাইকারী ব্যবসায়ী একরামুল হক জানান, বিভিন্ন পাকরি জাতের আলু ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা প্রতিমণ দরে কিনছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সাজেদুল আলম আগামীনিউজকে বলেন, এ বছর আলু চাষের মৌসুমে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবং রোগবালাইয়ের তেমন আক্রমণ না হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ বছর ৫ হাজার ১শ ২০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।
আগামীনিউজ/মালেক